মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ।

 মুঠোফোন
টেলিফোন আবিষ্কারের পর থেকেই তারবিহীন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কথা গবেষক,বিজ্ঞানিরা ভাবতে শুরু করেন ।আমরা এতো বড় ইতিহাসের দিকে না যেয়ে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে শুর করবো ।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় অর্থাৎ ১৯৪০ সালে মিলিটারিরা রেডিও টেলিফোন ব্যবহার করে ।এই রেডিও টেলিফোন ব্যবস্থার আবিষ্কারক ছিলেন রেজিনালদ ফেসেন্দেন ।

তারপর ১৯৪৬ সালে প্রথম কল করা হয় একটি গাড়ী থেকে।১৯৪৬ সালের ১৭ ই জুন মিসউরির লাউস থেকে বেল টেলিফোন সার্ভিস এর আয়তায় প্রথম কল করা হয় ।তারপর ১৯৪৬ সালের ২রা অক্টোবর শিকাগো শহর থেকে পুর্বের পথ অনুসরন করে এলিওন বেল টেলিফোন কোম্পানির মাধ্যমে আবার টেলিফোন কল করেন ।এই টেলিফোনটি ছিল ভ্যাকুয়াম টিউবে তৈরী ।এটার ওজন ছিল প্রায় ৩৬ কেজি অর্থাৎ ৮০ পাউন্ড ।প্রথমে মেট্রো পলিট্রন এলাকার সকল ব্যবহারকারীর জন্য শুধু মাত্র একটা চ্যানেলই বরাদ্দ ছিল ।পরবর্তীতে ৩ টি ব্যান্ডএর আয়তায় ৩২ টি চানেল এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয় ।এই বাবস্তায় যোগাযোগ চলছিল ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ।এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিখ্যাত মটরলা কোম্পানির প্রধান জন মিচেল পোর্টেবল যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে নজর দেন –যার মাধ্যমে মুঠোফোন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরত্তপুর্ন ভুমিকা পালন করে ।মিচেল তারবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে হাত বাড়ান,যা যেকোনো জায়গায় থেকে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয় । মিচেল এর এই কাজের গুরত্তপুর্ন ব্যক্তি ছিলেন মটোরোলার গবেষক এবং নির্বাহী মাটিন কুপার ।এই মার্ত্তিন কুপার প্রথম সেলুলার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সর্ব প্রথম মুঠোফোন আবিষ্কার করেন এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসে নিজের নামটা স্বর্না অক্ষরে লিপিবদ্ধ করেন ।প্রথম মুঠো ফোনটির ওজন ছিল ২,৫ পাউন্ড।এর দৈঘ্য ছিল ৯ ইঞ্চি, প্রস্ত ১,৭৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৫ ইঞ্চি । এটার টক টাইম ছিল ৩০ মিনিট এবং চার্জ ১০ ঘণ্টা । প্রথম বাণিজ্যিক মুঠোফোনটি ছিল মটোরোলার DynaTAC 8000X ।কুপার প্রথম মুঠোফোন কলটি করেন ১৯৭৩ সালের ৩রা এপ্রিল তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী বেল ল্যাবের জেল এঞ্জেল এর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটার সময় ।ভবিষ্যৎদ্রষ্টা এই বিজ্ঞানির ভাষায়-
“ রাস্তায় হাঁটার সময় আমি যখন কল করছিলাম,তখন নিউইয়র্ক এর  রাস্তায় নিজেকে বাস্তব বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষই মনে হয়েছিল ।এটা মনে রাখা দরকার যে ১৭৭৩ সালে কিন্তু কোন তার বিহীন টেলিফোন ছিল না ।আমি প্রচুর কল করেছিলাম যখন নিউ ইয়র্ক এর রাস্তা পার হচ্ছিলাম –যেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বিপদজনক কাজ ।” বিজ্ঞানের এই রকম মজার বিষয় নিয়ে জানতে ঢুঁ মারুন এখানে ।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More